বাংলাদেশের খুলনা জেলা শহর থেকে নদী পথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে শিবসা নদীর পূর্বের পাড়ে রয়েছে শেখের খাল। তার কিছুটা দূরে এগিয়ে কালির খাল। এই দুই খালের মধ্যবর্তী স্থানটি শেখেরটেক নামে পরিচিত। এলাকাটি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মধ্যযুগীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ ইটের দেয়াল ও ঢিবি। তবে দণ্ডায়মান স্থাপনা হিসেবে এখন শুধু টিকে আছে কালী মন্দির। আনুমানিক ৪০০ বছর ধরে ওই মন্দিরটি লোকচক্ষুর আড়ালে থাকলেও, এবার তা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে বন বিভাগ।হয়েছে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। এটি সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি ফরেস্ট স্টেশনের আদাচাই টহল ফাঁড়ির ১৬ নং কম্পার্টমেন্ট এলাকায় শিবসা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত।
বন বিভাগ শেখের টেক খাল থেকে মন্দির পর্যন্ত প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার কংক্রিটের ফুট ট্রেলই নির্মাণ করছে। ওই ফুট ট্রেইলটি মন্দিরের চার পাশ থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের বনের উপরিভাগ দেখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। বনের মধ্যে কিছু স্থানে ইটের রাস্তাও তৈরী করা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে একটি টয়লেটের ব্যবস্থাও আছে। সম্প্রতি ওই মন্দিরটি সমীক্ষা করেছে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্দিরটি বর্তমানে খুবই ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় টিকে আছে। এর স্থাপত্যিক কাঠামো ও শিল্পশৈলীদৃষ্টে অনুমিত হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছর আগে এটি নির্মিত হয়েছে। এর দক্ষিণ ও পশ্চিমে দিকে রয়েছে দুটি প্রবেশদ্বার। এক গম্বুজ বিশিষ্ট ছাদ নিয়ে নির্মিত ওই মন্দিরটি।