কোচবিহারের মূল শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ধলুয়াবাড়ি শিব মন্দিরে এখনও প্রতিদিন হাজার মানুষের ভিড় হয়। জেলার এই প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে বেশকিছু বিশেষত্ব দেখতে পাওয়া। দীর্ঘ প্রাচীন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে এই মন্দির আনুমানিক প্রায় ২৫০ বছর পুরনো বলেই জানতে পারা যায়। এই মন্দিরে পুজো করা হয় শিবলিঙ্গ এবং নারায়ণ। এই মন্দিরের প্রবেশের গেটের সামনে রয়েছে দুটি নন্দীর মূর্তি যা মহাদেবের বাহন রূপেই পরিচিত। আর ঠিক মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন কালের একটি পাতকুয়ো। জেলার প্রাচীন এই মন্দিরের জেলার পর্যটনের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের মন্দির গবেষক সুবীর সরকার মন্দির বলেন, “বর্তমানে এই কুয়োকে সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে। এছাড়াও এই মন্দির খোলা হয় সকাল ১০টা নাগাদ। তারপর সারা দিন এই মন্দির খোলাই থাকে ভক্তদের জন্য। আবার সন্ধ্যারতি হওয়ার পর এই মন্দির বন্ধ করা হয়। মূল মন্দিরের পাশেই মন্দিরের দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা রয়েছে দু’টি। এই মন্দিরের পরিবেশ যে কোনও পর্যটকের মন খুব সহজেই আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়। প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে।”