www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2024 3:17 pm
কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)

বৃহস্পতিবার মহার্ঘ্য ভাতা মেটানো নিয়ে রাজ্যের পুণর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্ছ (Calcutta Highcourt)। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, গত ২০ মে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা মেটাতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাই বহাল থাকবে।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা মেটাতে একপ্রকার বাধ্য রইল রাজ্য সরকার। পুজোর মুখেই সেই খুশির খবর কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার মহার্ঘ্য ভাতা মেটানো নিয়ে রাজ্যের পুণর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্ছ (Calcutta Highcourt)। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, গত ২০ মে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা মেটাতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাই বহাল থাকবে।

সকালেই সূচী মেনে আদালত এই রায় দিয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ টেন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্য সরকারের (State Govt) অর্থ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের সেই নির্দেশের পুনঃবিবেচনার আর্জি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

একদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের অগস্টের মধ্যে বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়নি। তাই রাজ্য আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কনফেডারেশন অফ স্টেট এমপ্লয়ীজ। অন্যদিকে রাজ্যও পাল্টা রায় বিবেচনার আর্জি জানায়। তাদের দাবি রোপা ২০০৯ মোতাবেক সম্পূর্ণ মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ২০ মে মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত উল্লেখ করেছিল, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে ডিএ বাড়ানো উচিত।

তিন মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকারও। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।

২০১৯ সালের ২৬ জুলাই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (State Administrative Tribunal) ডিএ (DA) নিয়ে একটি রায় দিয়েছিল। পরে হাইকোর্টে মামলা হলে সেই রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করেই রাজ্য ডিএ ঠিক করতে হবে। আর সেটা তিন মাসের মধ্যেই নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছিল। সেই তিন মাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। এবার নতুন করে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের বকেয়া ডিএ-র ফারাক আছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *