পুণে : প্রথমে কোভিড-১৯ অতিমারি তারপর এই ইউক্রেন সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। এই জরুরি পরিস্থিতিগুলি কীভাবে মোকাবিলা করবেন তার উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকবে ২০২৪ এর গদি। তবে এখনও পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে কাউকে সরাসরি সমর্থন না করলেও ভারতীয় নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা যে সরকারের কাছে অগ্রগণ্য তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন পদক্ষেপে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারত যেভাবে ম্যারাথন উদ্যোগে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে এনেছে তা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে যাবে। এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে বিশ্বে ভারত কীভাবে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার পুণে সিমবায়োসিস ইউনিভার্সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান তিনি বলেছেন, “আমরা সফলভাবে কোভিড সামলেছি। এখন ইউক্রেনের পরিস্থিতি; আমরা আমাদের জনগণকে নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছি… এমনকি বড় দেশগুলোও এই কাজ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু ভারতের ক্রমবর্ধমান সহনশীলতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।তিনি বলেছেন, “ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এটি ইউক্রেনের যুদ্ধ অঞ্চল থেকে হাজার হাজার পড়ুয়াদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনেছে।” সরকার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে ভারত সরকার ‘অপারেশন গঙ্গার’ অধীনে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ১৩,৭০০ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বহু ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনও কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সংঘাত অঞ্চলে আটকে রয়েছে। শুক্রবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য় এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ‘অপারেশন গঙ্গার’ অধীনে ৬৩ টি বিমানে করে এখনও অবধি ১৩,৩০০ জন ভারতীয় নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শনিবার বলা হয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ টি বিমান অবতরণ করেছে। মোট ২,৯০০ জন ভারতীয় ফিরেছে সেই বিমানগুলি করে।